সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে আগামী মাসের ২২ তারিখ তাদের পদায়ন করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩১ ডিসেম্বর প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের পরিচিতি প্রতিপালন, ডকুমেন্টস যাচাই ও নমুনা স্বাক্ষরের শেষ তারিখ। ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের জেলা সিভিল সার্জনের কাছে সনদ ও ডোপটেস্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আর ৩ জানুয়ারিতে প্রার্থীদের অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি করা হবে।
৪ জানুয়ারিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে তার কারণ ও মতামতসহ তালিকা পাঠানো হবে। ৮ জানুয়ারি পুলিশ ভেরিফিকেশন। আর ২২ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবনিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে, শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের ক্ষে’ত্রে নি’ম্নরূপভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে পদায়ন করাতে হবে।
দুর্গম, হাওরাঞ্চল, দ্বীপাঞ্চল এলাকার বিদ্যালয়ের শূন্য পদে’ পুরু’ষকে প্রাধান্য দিতে হবে। শূন্য’পদ পূরণের ক্ষে’ত্রে নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোনো বিদ্যালয়ে ৫০ শতাংশের অ’ধিক পদ শূন্য রাখা যাবে না। এ বি’ষয়ে বিশেষ ন’জর দিতে হবে। যোগদান করা শিক্ষকদের বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ব্যবস্থাপনায় দুদিনের ওরি’য়েন্টেশন প্রদান করতে হবে।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। ম;ন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে তা বাড়িয়ে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া।